বেলী ফুল জানেনা দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
তাই কেঁপে কেঁপে সুবাস ছড়ায় ঝড়ের নিকেত।
তোমার কপালে কপাল ঠেকিয়ে বসে থাকা যায়
শুধু রোদ চশমা খুলে হুহু চোখ দুটো দেখা দায়।

তিক্ত জ্ঞান প্রদানকারী প্রকৃত বন্ধু বলে গণ্য হয়
যেমন আন্দোলন বেড়ে উঠতে গিয়ে হয়ে যায় পণ্য,
পোয়াতির মতন ভরা চাঁদের আলো মার্কা একটি রাত
বমি করে ভাসিয়েছি, ঐ একদিনই মদকে হাসিয়েছি।

দু’চারটে ঢপ গিলছি আর সেদিন যখন ভাবছি।
বার্তা বলে –
এ সপ্তাহে কবিতা দিও, অনেকদিন পড়তে দাও না।
বাধ্য হয়েই অভিমানটুকু উগড়ে দিলাম –
তুমি নিও
অনেকদিন কেউ কবিতা পড়তে চায় না।

আলেয়া ধরে মরীচিকার হাত, মরীচিকা আলেয়ার
তারপর টেনে নিয়ে চলে গভীরে। নেমে যায়
গলা ধরাধরি করে বেঁচে উঠতে গিয়ে মরে যায়
মামাবাড়ির তাল গাছের শ্যাওলা পঁচা কালো ঘাটলায়।

তোমাকে বুকের বোতাম খোলা সুঢৌল বই মনে হত
কয়েক পাতা পড়তেই আমি উন্মাদ শরীর শুঁকে
অস্থির হয়ে উঠতাম, অজগরের মত ছুটতাম
কিন্তু শেষটা কখনও পড়ে শেষ করতে চাইতাম না।

 

আস্ত পুস্তক

© Shihab Shahariare Khan ||